হুথিদের উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ, জেনেনিন কীভাবে দুর্গে প্রবেশ করেছিল ইসরায়েল?

২৮শে আগস্ট ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় হুথি যোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহবি নিহত হয়েছেন। একই হামলায় আরও ১০ জন মন্ত্রী এবং ২ জন উপ-প্রধানমন্ত্রীও মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর হুথি বিদ্রোহীরা এর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিমান হামলার দুই দিন পর হুথি কর্তৃপক্ষ সানা এবং এর আশপাশের অঞ্চলে ইসরায়েলকে সাহায্য করার সন্দেহে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি, জাতিসংঘের প্রাঙ্গণেও অভিযান চালিয়ে ১১ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

হুথি যোদ্ধারা সাধারণত আরবি ভাষা ব্যবহার করে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং এর গুপ্তচররা এটি ডিকোড করতে সক্ষম হয়নি। সম্প্রতি, ইসরায়েলি সরকার সমস্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আরবি ভাষা শিখতে বলেছে। আরবি ভাষা ইসরায়েলের জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করা সহজ করে তুলেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হুথিরা বারবার ইসরায়েলের ওপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এর জবাবে ইসরায়েলও গত কয়েক মাস ধরে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে।

হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি আক্রমণে আমরা দুর্বল হব না। তারা আমাদের শহর এবং জনগণকে টার্গেট করতে পারবে না।”

এই হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, সানায় এই হামলা কেবল শুরু। অন্যদিকে, হুথিরা ইসরায়েলকে ধ্বংস করার হুমকি দিচ্ছে।