সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সহকর্মীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে করা একটি পোস্টকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। আয়ুষ সিংহ নামের এক ব্যক্তি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, “আমার অফিসের একজন মেয়ে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, আমি কীভাবে ওর স্বামীকে জানাব? আমি ওকে চিনি না, কিন্তু আমি ওকে সতর্ক করতে চাই।” এই পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনরা এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেন। অনেকেই এই ধরনের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেন, “কেন? এতে তোমার কী সমস্যা?” আরেকজন সতর্ক করে বলেন, “অন্যের জীবনে নাক গলিও না, পরে তোমারই বিপদ হতে পারে।”

কেউ কেউ এ ধরনের হস্তক্ষেপের ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছেন। একজন লিখেছেন, “যদি ওর স্বামী তোমার কথা বিশ্বাস না করে এবং তোমার ওপর হামলা করে, তখন কী করবে?” অন্যদিকে, কিছু ব্যবহারকারী বিকল্প পথ দেখিয়েছেন। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, যদি বিষয়টি অফিসের পরিবেশ নষ্ট করে, তাহলে এইচ আর বিভাগে জানানো যেতে পারে।

এই ঘটনাটি কর্মক্ষেত্রে গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সীমারেখা এবং সহকর্মীর জীবনে হস্তক্ষেপ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এই ঘটনার পাশাপাশি আরেকটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে ২৩ বছর বয়সী একজন নারী রেডডিটে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি কর্মক্ষেত্রে ‘বুলিং ও অপমানের’ শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, লাঞ্চ ব্রেকের সময় তার সহকর্মীরা তাকে ঘিরে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন এবং ‘কুত্তে বইঠা দিয়ে হে হামারে পিছে’ (আমাদের পেছনে নজরদারি করার জন্য কুকুর বসানো হয়েছে) বলে অপমান করেন। এই ঘটনা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে।

এই দুটি ঘটনা আবারও কর্মক্ষেত্রে সম্মান, পেশাদারিত্ব এবং পারস্পরিক আচরণের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।