SCO বৈঠকে পুতিন-শির সাথে মোদীর ঘনিষ্ঠতা, দেখে কি বলছে ট্রাম্পের আমেরিকা?

চিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর ঘনিষ্ঠতা আমেরিকার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ‘একবিংশ শতাব্দীর পরিচয়’ বলে প্রশংসা করলেও, অন্যদিকে ট্রাম্পের দল থেকে ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া মন্তব্য করা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যেকার সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সম্পর্ক শুধু কৌশলগত নয়, বরং মানুষের মধ্যেকার গভীর বন্ধুত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তারা টুইটারে #USIndiaFWDforOurPeople হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেছে।
তবে এর অন্যদিকটাও রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির থেকে ভারতের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে প্রায় ৫০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যার কারণ হিসেবে রাশিয়া থেকে তেল কেনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পিটার নাভারোর কড়া মন্তব্য
ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার সরাসরি ভারতকে আক্রমণ করেছেন। ২৮শে আগস্ট তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত আসলে “মোদীর যুদ্ধ”। তিনি অভিযোগ করেন যে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে, তা পরিশোধন করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এই প্রক্রিয়ায় ভারতের মাধ্যমে পুতিনের যুদ্ধ খরচ জোগানো হচ্ছে বলে তার দাবি। ২৯শে আগস্ট তিনি আরও একধাপ এগিয়ে ভারতকে “ক্রেমলিনের অর্থ পাচারকারী যন্ত্র” বলে অভিহিত করেন।
নাভারো অভিযোগ করেন যে ভারতের তেল শোধনাগারগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে মুনাফা অর্জন করছে এবং এই অর্থ রাশিয়াকে শক্তিশালী করছে। তার মতে, আমেরিকার দেওয়া শুল্ক এই ধরনের সাহায্য বন্ধ করার একটি উপায়। এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আমেরিকার সরকারি এবং রাজনৈতিক মহলে ভারত সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেখা যাচ্ছে।