ট্রাম্পকে বড় ধাক্কা, শুল্কের বিনিময়ে ভারত দেখিয়ে দিলো বড় খেল, জেনেনিন বিস্তারিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক সংক্রান্ত উত্তেজনার মধ্যে ভারত একটি বড় আর্থিক কৌশল পরিবর্তন করেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) এখন মার্কিন ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ কমানোর বদলে সোনার রিজার্ভ বাড়াচ্ছে।
গত এক বছরে মার্কিন ডলারের দামে বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে। তাই ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারত, চিন এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে নানাভাবে সাজানোর চেষ্টা করছে।
ডলারের বিনিয়োগে হ্রাস: গত বছর, অর্থাৎ জুনে, ভারতের মার্কিন ট্রেজারিতে প্রায় ২১ লক্ষ কোটি টাকা (২৪২ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ ছিল। এই বছর তা কমিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা (২২৭ বিলিয়ন ডলার) করা হয়েছে।
সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধি: গত ১২ মাসে আরবিআই প্রায় ৩৯.২২ মেট্রিক টন সোনা কিনেছে। এর ফলে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত ভারতের মোট সোনার রিজার্ভ ৮৭৯.৯৮ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য লাভজনক। এতে মার্কিন-কেন্দ্রিক ঝুঁকির সম্ভাবনা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও স্থিতিশীল হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের অবস্থান
ভারত একা নয়, মার্কিন ট্রেজারি বিল থেকে বিনিয়োগ কমাচ্ছে আরও অনেক দেশ।
মার্কিন ট্রেজারি বিলের তৃতীয় বৃহত্তম ধারক চিনও তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। গত বছরের জুনে তাদের বিনিয়োগ ছিল ৭৮০ বিলিয়ন ডলার, যা এই বছর কমে ৭৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এই দুটি দেশ মার্কিন ট্রেজারি বিলের বৃহত্তম ধারক, কিন্তু তাদেরও বিনিয়োগের পরিমাণ কমছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং অন্যান্য দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিকল্প পথে হাঁটছে, যার মধ্যে সোনা কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।