গ্রামে হঠাৎ হাজির কুমির, উদ্ধারের সময় পালাতে গিয়ে আহত বনদফতরের ২ কর্মী

মধ্যপ্রদেশের নিমুচ জেলার একটি গ্রামে কুমির ঢুকে পড়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বন বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, বনকর্মীরা কুমির ধরতে দেরি করেছেন এবং উপযুক্ত সরঞ্জাম নিয়েও আসেননি, যার ফলে কুমিরের আক্রমণে দু’জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে, নিমুচের থাদোলি গ্রাম পঞ্চায়েতের হনুমানটিয়া রাভজি গ্রামে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় কুমিরটি গ্রামে ঢুকে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। কুমির দেখেই গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রামবাসীরা জানায়, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, কিন্তু বন বিভাগের কর্মীরা আসেন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর। তাদের আরও অভিযোগ, বনকর্মীরা এলেও তাদের কাছে কুমির ধরার জন্য বড় খাঁচা বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না। এর ফলে কুমিরটিকে ধরতে অনেক সময় লেগে যায়।

উদ্ধার অভিযানের সময় কুমিরটি হঠাৎ ছুটে গেলে আতঙ্কিত হয়ে পালাতে গিয়ে দুই গ্রামবাসী মোহনলাল এবং তার ছেলে ঘিসালাল সুধার কুমিরের আক্রমণে আহত হন। তাদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এলাকার বিভাগীয় বন আধিকারিক এস কে আটোদে অবশ্য দেরিতে পৌঁছানোর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গাড়ির সমস্যার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, বনকর্মীরা উপযুক্ত সরঞ্জাম নিয়েই গিয়েছিলেন। কুমিরের আক্রমণে কেউ আহত হয়েছেন, এমন কোনো খবর তার কাছে নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের সাহায্যে কুমিরটিকে ধরা সম্ভব হয় এবং সেটিকে গান্ধী সরোবর হ্রদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।