“ধর্মস্থল রাজনীতি নয়, পূজার স্থান”- এবার কংগ্রেসকে আক্রমণ বিজেপির, পুরো মামলাটি কী জানেন?

কর্ণাটকের বিখ্যাত ধর্মস্থল মন্দিরে গণকবর দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলছে।

গত ৩ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ধর্মস্থল মন্দিরের এক প্রাক্তন ঝাড়ুদার এক অদ্ভুত দাবি করেন। তিনি বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে তিনি শত শত নারী ও নাবালিকা মেয়ের মৃতদেহ কবর দিতে সাহায্য করেছেন। তার অভিযোগ, এই মৃতদেহগুলো ছিল এমন নারীদের, যাদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। এরপরই কর্ণাটক পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল (SIT) গঠন করে।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর বিজেপি একে কিছু ‘বামপন্থী গোষ্ঠীর’ চক্রান্ত বলে দাবি করেছে। বিজেপি নেতা চালবাদী নারায়ণস্বামী বলেছেন, “ধর্মস্থল একটি পবিত্র উপাসনালয়। কিছু লোক মন্দিরের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়।” তিনি আরও বলেন, যারা ন্যায় বিচার চায়, তাদের আদালতে যাওয়া উচিত, রাস্তায় নয়।

এই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি আজ, ১ সেপ্টেম্বর ‘ধর্মস্থল চলো’ নামে একটি বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক এস. আর. বিশ্বনাথ বলেন, এই সমাবেশে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশ নেবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাদের এই সমাবেশ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং ধর্মস্থল এবং তার পবিত্রতাকে রক্ষা করার জন্য।

অন্যদিকে, কংগ্রেস এই বিতর্ককে ভিন্ন চোখে দেখছে। কর্ণাটকের মন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও বিজেপির সমাবেশের সমালোচনা করে বলেছেন, “ধর্মের নামে রাজনীতি করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, ধর্মস্থল মন্দিরের স্বার্থ রক্ষার জন্য এত বড় সমাবেশের প্রয়োজন নেই। তিনি বিজেপিকে এই ধরনের রাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ চৌত্তা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “মন্দিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এর প্রতিবাদেই আমরা সমাবেশ করছি।” তিনি এসআইটি তদন্তকে স্বাগত জানালেও, সেই তদন্ত নিয়েও এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।