স্মার্ট ক্লাসরুম নিয়ে দ্বন্দ্ব, হুগলিতে ফের মুখোমুখি রচনা ও অসিত

হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার-এর মধ্যে সম্পর্ক যে এখনও স্বাভাবিক হয়নি, তা আরও একবার প্রমাণ হলো একটি স্কুলের স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন ঘিরে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোয় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আবার প্রকাশ্যে এসেছে।
ঘটনার সূত্রপাত জুলাই মাসে। চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় বিধায়ক অসিত মজুমদার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছিলেন। এই নিয়ে তখন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি চুঁচুড়ায় আরও স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করবেন, এবং কার কত সাহস আছে এসে তাঁকে আটকে দেখিয়ে দিতে।
শনিবার ওই স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও, স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার ছিলেন না। পরে অসিত মজুমদার অভিযোগ করেন, স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “লোকাল বিধায়ক হিসেবে আমার আমন্ত্রণ প্রাপ্য ছিল। এটা প্রোটোকল। দুর্ভাগ্য যে আমারই দলের সাংসদ প্রোটোকল মানেননি।” তিনি আরও যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এবং তাকে (রচনা) দুজনকেই টিকিট দিয়েছেন।”
অন্যদিকে, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “উনি এখন সবাইকে নিয়ে চলতে চাইছেন। এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। উনি যদি সেটা বজায় রাখেন, আমি খুব খুশি হব।”
এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, সাংসদ এবং বিধায়কের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই অভ্যন্তরীণ বিবাদ শাসক দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।