মুখ্যমন্ত্রীর নামে ‘মিথ্যাচার’ করা হচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মন্তব্যে তীব্র আক্রমণ ব্রাত্য বসুর

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্তর কিছু মন্তব্যের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শান্তা দত্তর এই মন্তব্যগুলোকে ‘মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
শান্তা দত্ত সম্প্রতি বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে ২৮ আগস্টের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণ ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন যে, স্থায়ী উপাচার্য পদে সাক্ষাৎকারের জন্য অনেক আবেদনকারীকে ডাকা হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই অভিযোগগুলোর কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনো অনুরোধ করেননি। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনো নির্দেশ দিতেন, তবে তার লিখিত প্রমাণ বা ই-মেল থাকত, যা নেই।
ব্রাত্য বসু আরও জানান, ২৮ আগস্ট শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছিল। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া বা না দেওয়াটা তাদের সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনুরোধ মেনেছিল, আবার কিছু মানেনি।
তিনি বলেন, “মিডিয়াতে প্রচার পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা একেবারেই অনুচিত। মিথ্যারও একটা সীমা থাকে।” তিনি অভিযোগ করেন যে, রাজ্যপালের মনোনীত উপাচার্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, যাতে মনে হয় ছাত্র সংগঠনের চাপে বা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি এটাকে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেন।