প্রেমের ভয়ঙ্কর পরিণতি! পরপর যুবক ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর ট্রেনের সামনে ঝাঁপ

প্রেমের সম্পর্ককে পরিবার মেনে না নেওয়ায় উত্তরপ্রদেশের বাঁদা জেলার অতর্রা কোতোয়ালি এলাকায় এক যুবক ও যুবতী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের দুজনের দেহ ললিতপুরের রেললাইনে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে যুবকটি আত্মহত্যা করে এবং এরপরই যুবতীটিও একই পথে হেঁটেছে।
১১শ শ্রেণির ওই ছাত্রী তার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিল। পরিবার জানায়, সে ফোনে তার এক আত্মীয় যুবকের সঙ্গে কথা বলত, যা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা খুবই অসন্তুষ্ট ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ২০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার বাবা ছত্রপুরের (মধ্যপ্রদেশ) ওই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, পুলিশ খবর পায় যে ললিতপুর জেলার রেললাইনে একটি যুবক ও একটি যুবতীর দেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া নথি থেকে পুলিশ মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাদের পরিবারকে খবর দেয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের আপত্তির কারণে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশের বক্তব্য
অতর্রা কোতোয়ালির থানাপ্রধান (এসএইচও) ঋষিদেব সিং জানিয়েছেন, মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ নিয়মিত তাদের খোঁজ করছিল। ললিতপুরে তাদের দুজনের দেহ রেললাইনে পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রথমে যুবকটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে, এবং তারপরই মেয়েটি একই কাজ করে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে তার আত্মীয় ওই যুবকের ফোনে কথা বলা নিয়ে পরিবারের আপত্তি ছিল। পুলিশ এই ঘটনার আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই ধরনের মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যান, তাহলে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অবিলম্বে ভারত সরকারের জীবনসাথী হেল্পলাইন ১৮০০২৩৩৩৩৩০ নম্বরে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও আপনি টেলিম্যানস হেল্পলাইন ১৮০০৯১৪৪১৬ নম্বরে কল করতে পারেন। এখানে আপনার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে এবং বিশেষজ্ঞরা আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেবেন। মনে রাখবেন, জীবন অমূল্য।