“আমায় নোবেল প্রাইজের জন্য নমিনেট করুন”-আবদার না রাখায় মোদীর উপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্বে কি ফাটল ধরেছে? এমনটাই মনে করা হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে কোয়াড (Quad) সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসার কথা ছিল ট্রাম্পের, কিন্তু এখন তিনি আর সেই সফরে আগ্রহী নন। তাহলে কি ‘বন্ধু’ মোদীর সঙ্গে কথা বলতে না পেরে ট্রাম্প রাগ করলেন? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে?
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ভারতে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। যদিও ভারত বা আমেরিকা কোনো দেশের সরকার এই খবর নিশ্চিত করেনি। এই বছরের শেষের দিকে ভারতে কোয়াড সম্মেলন হওয়ার কথা। জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ট্রাম্প আমেরিকায় একটি কোয়াড বৈঠক ডেকেছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প বারবার দাবি করছিলেন যে গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে লড়াই হয়েছিল, তিনি নাকি সেটা থামিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত বারবার এই দাবি অস্বীকার করেছে। এই নিয়েই নাকি দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে যে, ট্রাম্পের এই ধরনের কথা শুনে মোদী নাকি ধৈর্য হারাচ্ছিলেন।
গত ১৭ জুন মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনে ৩৫ মিনিট কথা হয়। ওই সময় মোদী কানাডাতে জি-৭ (G7) সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ট্রাম্পও সেখানে ছিলেন, কিন্তু তাদের দেখা হওয়ার আগেই তিনি ওয়াশিংটন ফিরে যান। এরপরই তাদের মধ্যে ফোনে কথা হয়।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, মোদী ট্রাম্পকে স্পষ্ট বলে দেন যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে তাতে আমেরিকা যেন নাক না গলায়। তাদের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা হয়নি। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভারত ও পাকিস্তান নিজেরাই নিয়েছিল, পাকিস্তান নিজেই যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প ওই ফোন কলে আবারও দাবি করেন যে তিনি নাকি ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তান নাকি তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নাকি মোদীর কাছেও আবদার করেন তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার জন্য। তাহলে কি ট্রাম্পের এই আবদার না মানার জন্যই তিনি মোদীর উপর রাগ করেছেন? এই নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।