নতুন বুথ বিন্যাস এবং ‘হাইরাইজ বুথ’ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে একটি সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে শাসকদল তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম দলগুলি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে।

তৃণমূল, বিজেপি এবং বামেদের আপত্তি
বৈঠকের পর তৃণমূলের প্রতিনিধি অরূপ বিশ্বাস জানান, তাঁরা কমিশনের সিদ্ধান্তে মোটেই সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, একটি বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার রাখা যাবে না, এটা তাঁরা মানছেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে ভোটারদের দূরে পাঠানো হবে।

অন্যদিকে, বিজেপি বুথ বিন্যাস সংক্রান্ত জেলা নির্বাচনী অফিসারদের (DEO) রিপোর্টকে সরাসরি জালিয়াতি বলে অভিযোগ করেছে। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ২৪ জন ডিইও রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে কোনো দলেরই কোনো আপত্তি নেই। এটাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে তিনি এই ২৪ জন ডিইওকে শোকজ করার দাবি জানান।

সিপিএমও ডিইওদের রিপোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

কংগ্রেসের প্রতিবাদ এবং ‘হাইরাইজ বুথ’ পরিকল্পনা
এই বৈঠকে কংগ্রেস বিজেপিকে আক্রমণ করে। বিধানভবনে বিজেপির ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় কংগ্রেস। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেস নেতাদের হাতে ‘No SIR’ লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল, যা নিয়ে বিজেপি আপত্তি তোলে।

এই বছরই প্রথম কলকাতায় হাইরাইজ বুথ তৈরির পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। শহর কলকাতায় বহুতল সংখ্যা বাড়া এবং ভোটদানের হার কম থাকার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যে সব বহুতলে ৪০০ বা তার বেশি ভোটার আছে, সেখানে বুথ তৈরি করা হবে। পরে এই নিয়ম রাজ্যের অন্য জেলাতেও চালু করা হতে পারে।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, রাজ্যে আগে ৮০,৬৮১টি বুথ ছিল। নতুন বিন্যাসে ১৩,৮১৬টি বুথ বেড়ে মোট বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪,৪৯৭টি। কোনো রাজনৈতিক দলের এই নতুন বুথ বিন্যাস নিয়ে আপত্তি থাকলে, তা ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জানাতে হবে। জেলা ভিত্তিক বৈঠক করে এই আপত্তি মেটাতে ডিইওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।