১৩ বছর আগে বিয়ে, পণের জন্য স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করল কনস্টেবল স্বামী

উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে পণের জন্য পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল ও তাঁর পরিবারের ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা ৩২ বছর বয়সী পারুলকে তাঁর স্বামী দেবেন্দ্র, যিনি উত্তর প্রদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল, এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। পারুলের ভাইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, দেবেন্দ্র ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পারুলের উপর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। টাকা না দিতে পারায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

১৩ বছর আগে দেবেন্দ্রর সঙ্গে পারুলের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পারুলের মা অনিতা জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, পারুল যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লির একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পারুল জীবন-মৃত্যুর মাঝে লড়াই করছেন।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ দেবেন্দ্র, তাঁর মা এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই গ্রেটার নয়ডায় নিক্কি ভাটি নামে এক গৃহবধূকে পণের জন্য জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। পরপর এমন ঘটনা সমাজে পণের নামে অত্যাচার ও নারী নির্যাতনের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে।