অবশেষে এল DNA রিপোর্ট! এক মাস আগে উদ্ধার হওয়া নাবালিকার দেহ শনাক্ত, ভেঙে পড়লেন পরিবার

প্রায় এক মাস আগে বীরভূমের নানুরের পাপুরি গ্রামে একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া পচাগলা দেহটি অবশেষে শনাক্ত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে, দেহটি নানুরের খালা গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর।

পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই ওই ছাত্রী টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন তার মা নানুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ২৪ জুলাই পাপুরি গ্রামের একটি মাদ্রাসার পেছনে এক খালে তার পচাগলা দেহ পাওয়া যায়। দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তখন তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ডিএনএ রিপোর্টের মাধ্যমে দেহটি শনাক্ত করা গেছে। মঙ্গলবার রাতে নানুর থানা ছাত্রীর দেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

মেয়ের দেহ পাওয়ার পর তার মা এবং পরিবারের সদস্যরা শোকে ভেঙে পড়েন। ছাত্রীর মা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার পেছনে নানুর থানার পুলিশ জড়িত। তারা টাকা খেয়ে সবকিছু করেছে।” তিনি আরও দাবি করেন যে, যারা তার মেয়েকে খুন করেছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তবে ছাত্রীটি খুন হয়েছে, আত্মহত্যা করেছে, নাকি তার ওপর কোনো যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল— এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছু স্পষ্ট নয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে।