নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ঘনিষ্ঠদের নামে নগদে জমি কিনতেন জীবন! চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে বের করল ED

চাকরির দুর্নীতির তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে পেয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর জমি কিনেছেন বলে ইডি জানিয়েছে। জানা গেছে, এই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে নগদ টাকায়।
সাধারণত, জমি বা অন্য কোনো সম্পত্তি কিনতে মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য নেয়। কিন্তু জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তিনি বেশিরভাগ জমিই নগদ টাকায় কিনেছেন। ইডির ধারণা, এই নগদ টাকায় সম্পত্তি কিনে তিনি কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছিলেন। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই জমি কেনা হয়েছে। বিধায়ক নিজের নাম আড়াল করার জন্য তাঁর পিসি মায়া সাহা, নিতাই সাহা, গৌর সাহা এবং রাজেশ ঘোষ-এর মতো ঘনিষ্ঠদের নামে এই জমিগুলো কিনেছিলেন।
জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রীর নামেও অনেক সম্পত্তি নগদ টাকায় কেনা হয়েছে বলে ইডি জানতে পেরেছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইডি এখন জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী এবং পিসি মায়া সাহাকে তলব করেছে। তাদেরকে সম্পত্তির যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ইডি গত পাঁচ বছরে জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির কতটা বৃদ্ধি হয়েছে, তা জানার জন্য তাঁর ঘনিষ্ঠদের আয়কর রিটার্নও খতিয়ে দেখছে।
সোমবার আবারও ইডি জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এই সময় তিনি তার মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পাঁচিল থেকে পড়ে তিনি আঘাতও পান। তার এই ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কশাল আদালত জীবনকৃষ্ণকে আপাতত ৬ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। তার আইনজীবী দাবি করেছেন যে জীবনকৃষ্ণ এবং তার স্ত্রী তদন্তে সব সময় সহযোগিতা করেছেন।
এই ঘটনায় নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সামনে আরও কী তথ্য আসে, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।