ভারতে বেআইনিভাবে ঢোকার সময় ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর নাম মহম্মদ আরিফুজ্জামান। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কে এই আরিফুজ্জামান?

আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ আছে। গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় এক কলা ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তবে তিনি কৌশলে নিজের নাম বাদ দিয়ে দেন। এরপর গত বছর ১৪ অগাস্ট তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে অপরাধীদের তালিকায় তাঁর নাম আছে।

কীভাবে তিনি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন?

জানা গেছে, গত শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আরিফুজ্জামান ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। তিনি ভেবেছিলেন এই সুযোগে সহজেই সীমান্ত পার হয়ে যাবেন। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাকিমপুর চেকপোস্টে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) তাঁকে আটক করে।

জেরার পর তাঁর আসল পরিচয় জানা যায়। বিএসএফ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি স্বরূপনগর থানায় আছেন।

কেন এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ?

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে একজন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের এভাবে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করাটা এই প্রথম। এই ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।