বাংলায় দুই ভিন্ন ঘটনায় শোরগোল, আসানসোলে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ও মালদায় ছাত্রকে গুলি

পুরভোটের সময় মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় থাকা এবং তাদের ভোটও পড়ে যাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এবার আসানসোলের এক তৃণমূল নেতার স্বীকারোক্তিতে এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে এসেছে। আসানসোলের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সৌমিত্র সেনগুপ্ত স্বীকার করেছেন যে, তার পরিবারেরই তিনজন মৃত সদস্যের নাম এখনো ভোটার তালিকায় রয়েছে।
নেতা জানান, তার দাদা, বৌদি এবং ভাইপো মারা গেলেও তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। বরং পুরভোটে তাদের ভোটও পড়ে গিয়েছিল। এই স্বীকারোক্তির ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মালদায় ছাত্রকে গুলি
একই দিনে, মালদায় ঘটে গেছে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানে এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রকে গুলি করে জখম করা হয়েছে। আহত ছাত্রের নাম আবদুল সাহিদ (১৯)। সে বাঙ্গিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার বুকের ডান দিকে গুলি লেগেছে এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মালদার মোথাবাড়ি থানার পঞ্চানন্দপুর বাজার এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ সেখ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।