ভারত-চীন সম্পর্কের গলছে বরফ! দোভাল-ওয়াং বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে জোর

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির চাপে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে মজবুত হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বৈঠকের পর, মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যেকার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মধুর হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। এই বৈঠককে ভারত ও চীন উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে দুই দেশই পারস্পরিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিতে চাইছে।

সীমান্তে শান্তি, বাণিজ্যিক সম্পর্কে উন্নতি
বৈঠক শেষে অজিত দোভাল জানান, ভারত-চীন সম্পর্ক উন্নত হলে দুই দেশই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, গত অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সমঝোতা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। এর ফলে কেবল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও দুই দেশ উপকৃত হয়েছে।

ওয়াং ই তার মন্তব্যে স্বীকার করেন যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ঘটে যাওয়া অঘটনে উভয় দেশেরই ক্ষতি হয়েছে এবং তা কোনো পক্ষের সাধারণ মানুষের উপকারে আসেনি। তিনি সীমান্তে বজায় থাকা স্থিতিশীলতাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং বলেন যে, এখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে উন্নয়ন ও পারস্পরিক বোঝাপড়াই প্রধান লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর
এই বৈঠকটি আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩১শে আগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের তিয়ানজিন সফর করবেন। এই সফরের আগে দোভাল এবং ওয়াং-এর মধ্যেকার এই আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে চীন ভারতের উপর থেকে সার, দুর্লভ খনিজ এবং টানেল বোরিং মেশিন রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে। গত মাসে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এই বিষয়ে ওয়াং ই-কে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সূত্র অনুযায়ী, এই গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীগুলো ইতিমধ্যেই জাহাজে তোলা শুরু হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো প্রমাণ করে যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও নতুন করে গতি পাচ্ছে।