স্কুটি শিখতে এসে যুবক-যুবতীতে চরম বচসা, তারপরেই খালে যেন কি একটা পড়ল….! ‘থ’ এলাকাবাসী

পাশেই খাল, তার সঙ্গে লাগোয়া শুনশান রাস্তা। বাইক-স্কুটি শেখার জন্য আদর্শ জায়গা। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় এক তরুণী তার এক বন্ধুর সঙ্গে স্কুটি শিখতে এসেছিল আনন্দপুরের চিনা মন্দির খালপাড় এলাকায়। কিন্তু প্রতিদিনের সেই স্বাভাবিক সন্ধ্যাটা ছিল না। শেষবার তাদের দুজনকে এখানেই দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই দুজনের কোনও খোঁজ নেই। স্থানীয়দের দাবি, বাকবিতণ্ডার পর যুবক হয়তো তরুণীকে খালে ফেলে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায়ও ওই যুবক-যুবতীকে খালপাড়ের রাস্তায় স্কুটি শিখতে দেখা যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এলাকাবাসী চিৎকার শুনতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই কি একটা যেন খালে ফেলে দেওয়ার শব্দ শোনা যায়।

রাত হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজতে বের হন। কিন্তু মেয়েকে না পেয়ে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাস্তার ধারেই স্কুটিটি খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু তরুণী বা তার বন্ধু, কারোরই খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়দের ধারণা, বাকবিতণ্ডার সময় যুবক হয়তো তরুণীকে খালে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। গতরাত থেকে খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তরুণীর কোনও হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার সকালেও আবারও ডুবুরি নামানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তল্লাশি অভিযানে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মেয়েটা দেখলাম মারছে, কেউ আটকায়নি। কিছুক্ষণ পর শুনলাম নাকি ওখানে লাশ পড়ে রয়েছে। রাতে আবার বাড়ির লোক এসে খোঁজাখুঁজি করছিল। স্কুটিটা এখানেই পাওয়া গিয়েছে।”

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তরুণী ও তার বন্ধুর খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।