বিশেষ: দিনের শুরুতে প্রথম ৫ মিনিটে করুন এই কাজ, সারাদিন কাটবে সতেজ ও প্রাণবন্ত ভাবে

বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণায় মারাত্মক সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যে গতিতে বাড়ছে তাতে পূর্বের অনুমান থেকেও এক দশক আগে, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যেই আর্কটিক সাগরের বরফ সম্পূর্ণরূপে গলে যেতে পারে। জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রটি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
গবেষকদের মতে, এমনকি যদি আজ থেকেই কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়, তবুও ২০৫০ সাল নাগাদ গ্রীষ্মকালে আর্কটিক সাগরে বরফের দেখা নাও মিলতে পারে। এই গবেষণাটি ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মানবসৃষ্ট দূষণই আর্কটিক সাগরের বরফ গলে যাওয়ার প্রধান কারণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রধান গবেষক অধ্যাপক সেউং-কি মিন জানান, “গ্রীষ্মকালে আর্কটিক একদম বরফশূন্য থাকবে, এমনটা জেনে আমরা খুবই অবাক হয়েছিলাম। কার্বন নিঃসরণ কমাতে আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়াটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
সাধারণত, আর্কটিক সাগরে শীতকালে বরফ জমে এবং গ্রীষ্মকালে তা গলতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে বরফের পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি এই হারে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, তাহলে প্রথমে কেবল সেপ্টেম্বর মাসই বরফমুক্ত থাকবে, তবে ধীরে ধীরে পুরো গ্রীষ্মকালই বরফহীন হয়ে যাবে। এমনকি ভবিষ্যতে শীতকালে বরফ জমার গতিও কমে যাবে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং অন্যান্য উষ্ণতা-বৃদ্ধি কার্যাবলী একই গতিতে চলতে থাকে, তাহলে ২০৮০ সালের পর আর্কটিক সাগর পুরোপুরি বরফহীন হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা উত্তর মেরুকে আরও দ্রুত বরফহীন করে তুলতে পারে। এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক জলবায়ু এবং বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন।