“অনুপ্রবেশকারীরা চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে”-বাংলাদেশিদের রুখতে নয়া মিশন প্রধানমন্ত্রী মোদীর!

দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, দেশে অনুপ্রবেশ রুখতে একটি নতুন ‘ডেমোগ্রাফি মিশন’ চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাবি, অনুপ্রবেশকারীরা দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলিতে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সীমান্ত থেকে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে কেন্দ্র এই বিশেষ মিশন শুরু করবে।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, “হাই-পাওয়ার ডেমোক্রেটিক মিশন ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। জাতীয় সুরক্ষায় প্রভাব ফেলে এমন অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, অনুপ্রবেশকারীরা দেশের কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলছে, মহিলাদের টার্গেট করছে এবং সামাজিক কাঠামোকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই ধরনের অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যার পরিবর্তন দেশের স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন মিশনের ঘোষণা করা হয়েছে। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো, সীমান্তে সুরক্ষা বাড়ানো এবং দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচিতি রক্ষা করা। সম্প্রতি দেশজুড়ে অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে ধরা হয়েছে, যাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নাম না করে মূলত এই অনুপ্রবেশকারীদের কথাই বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “জনসংখ্যাগত পরিবর্তন কেবল সামাজিক পরিবর্তন নয়, এটি জাতীয় সুরক্ষার জন্যও একটি বড় সতর্কতা।”

এই ইস্যুটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বরাবরই বিতর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আগেও পশ্চিমবঙ্গে একটি জনসভায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে, সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন।