কীভাবে ২০২১ সালে জিতে এলেন মমতা? মামলার শুনানি শুরু হাইকোর্টে, জেনেনিন কি ঘটনা?

রাজ্যজুড়ে যখন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই আবারও আলোচনায় উঠে এলো ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন পর কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে। এই মামলাটি ২০২১ সালের উপনির্বাচন নিয়ে, যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে ছয় মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসতে হতো। সেই সময় ভবানীপুর কেন্দ্রের তৎকালীন বিজয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন এবং সেই শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হন।

মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ, শুধুমাত্র একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জেতানোর জন্য এভাবে উপনির্বাচন আয়োজন করা যায় না। তাদের বক্তব্য, এটি সংবিধানের নীতির পরিপন্থী। এই উপনির্বাচন ঘিরে তখন থেকেই আইনি জটিলতা শুরু হয়।

মুখ্যসচিবের বিজ্ঞপ্তি এবং হাইকোর্টে মামলা:

সেই সময়কার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান যে, যদি ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন না হয়, তাহলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির শুনানিতে নির্দেশ দেয় যে, মামলাটিকে নতুন করে নথিভুক্ত করতে হবে। এই আইনি প্রক্রিয়ার কারণে দীর্ঘদিন মামলাটির অগ্রগতি আটকে ছিল। অবশেষে, ২০২৫ সালে সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং মামলাটি নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে।

ভবিষ্যতের দিকে নজর:

এই মামলার শুনানি শুরু হলে কী রায় আসে, তার উপর সবার নজর থাকবে। বিশেষত, যখন রাজ্যে আর এক বছর পরেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তখন এই ধরনের একটি হাই-প্রোফাইল মামলার শুনানি রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।