‘ভ্যাকিউম প্যাকেটে’ মিলবে পোনা মাছ, কম দামে পাবেন রুই, কাতলা, বাটা, জেনেনিন কোথায়?

ভোজনরসিক বাঙালিকে আরও বেশি খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড। হরিণঘাটা ব্র্যান্ডের মাংসের পর এবার বাজার মাতাতে আসছে তাদের প্যাকেটজাত মাছ। সেপ্টেম্বর মাস থেকে রুই, কাতলা এবং বাটা মাছ ফ্রোজেন ও ভ্যাকিউম প্যাকেটে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধীন এই সংস্থাটি সম্প্রতি সল্টলেকের প্রাণিসম্পদ বিকাশ ভবনে এক অনুষ্ঠানে তাদের এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারপারসন বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. উৎপল কর্মকারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২৫০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রামের প্যাকেটে উচ্চ গুণমানের রুই, কাতলা ও বাটা মাছ পাওয়া যাবে। মূল্যও রাখা হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।

দাম এবং প্যাকেজিং:

রুই মাছ: ২৫০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য যথাক্রমে ১০০ টাকা এবং ১৯৫ টাকা।

কাতলা মাছ: ২৫০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম হবে ১২৫ টাকা এবং ২৪৫ টাকা।

বাটা মাছ: ২৫০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৭৬ টাকা এবং ১৪৫ টাকা।

এই মাছগুলো ভ্যাকুয়াম প্যাকেটে থাকায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত এদের গুণমান অক্ষুণ্ণ থাকবে, যা শহুরে জীবনের ব্যস্ততার জন্য খুবই সুবিধাজনক।

পরিষেবার পরিধি:

প্রাথমিকভাবে হরিণঘাটা ব্র্যান্ডের এই প্যাকেটজাত মাছগুলো কলকাতার ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে পাওয়া যাবে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়ানো হবে এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশেও এই মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত মাছ সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যাবে, তেমনি মাছের কালোবাজারিও অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নতুন সংযোজন বাঙালির খাদ্যতালিকায় আরও বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।