রেস্তোরাঁর রিভিউ লিখে সহজেই রোজগারের ফাঁদ, লুঠ হয়ে গেলো গেল ৬ লক্ষ

অনলাইনে রেস্তোরাঁর রিভিউ লিখে ঘরে বসে টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সল্টলেকের এক মহিলার কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে কেরালায় অভিযান চালিয়ে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

কীভাবে ঘটল এই প্রতারণা?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে প্রতারক চক্রটি। তারা তাকে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর রিভিউ লিখে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের প্রস্তাব দেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রিভিউ লেখার পর কিছু টাকাও তাকে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি টেলিগ্রামের একটি গ্রুপের লিঙ্কও তাকে পাঠানো হয়, যেখানে অন্যান্য ‘রিভিউয়ার’দের কার্যকলাপ দেখানো হতো।

কিছুদিন পর হঠাৎ করেই ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি কারণ জানতে চাইলে প্রতারকরা জানায়, তার উপার্জিত অর্থ একটি ‘সিস্টেম’-এ আটকে রয়েছে। সেটি ছাড়াতে হলে ‘প্রক্রিয়ার খরচ’ বাবদ কিছু টাকা পাঠাতে হবে। এইভাবে ধাপে ধাপে তারা ওই মহিলার কাছ থেকে মোট ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ৩১ মার্চ তিনি বিধাননগর পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কেরালা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত:

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল, তার সূত্র ধরে চক্রের মূল হোতা আনন্দন পি থাম্বির সন্ধান পায়। আনন্দন কেরালায় বসবাস করে। বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল কেরালায় পৌঁছে অভিযান চালায় এবং মঙ্গলবার রাতে পালাক্কড় জেলা থেকে অভিযুক্ত আনন্দন পি থাম্বিকে গ্রেপ্তার করে।

বিধাননগর কমিশনারেটের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জেরা করে এই চক্রে আর কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনা আবারও অনলাইন প্রতারণার ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছে।