পোস্টে উঠে তার কেটে নামাতো অন্ধকার, তারপরেই শুরু হত কাজ…! হাতেনাতে ধরল গ্রামবাসীরা, জানুন পুরো ঘটনা

হিঙ্গলগঞ্জের খেজুরবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা এতদিন এক অদ্ভুত সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে গ্রামের বিদ্যুতের তার কেটে দেওয়া, ট্রান্সফর্মারের ফিউজ চুরি করা কিংবা স্ট্রিট লাইট খুলে নেওয়ার মতো ঘটনা লেগেই থাকত। এর ফলে গোটা গ্রাম অন্ধকারে ডুবে যেত, আর এই সুযোগে ঘটত ছোটখাটো চুরি। দীর্ঘদিন ধরে এই সব ঘটনার পেছনে কে আছে তা জানা যাচ্ছিল না।
বিদ্যুতের মিটার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল সন্তু প্রামাণিক
অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান হলো। গ্রামের বাসিন্দা সন্তু প্রামাণিককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে একটি বাড়ির বাইরে লাগানো বিদ্যুতের মিটার খোলার সময় গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলেন। তার ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি চুরি করা বৈদ্যুতিক মিটার, একটি লোহার রড এবং একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসীদের দাবি, সন্তু দিনে একজন ইলেকট্রিক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত। বিদ্যুতের খুঁটিনাটি সম্পর্কে তার এই জ্ঞানই সে রাতে চুরি করার কাজে লাগাত।
গণপিটুনির পর পুলিশি হস্তক্ষেপ
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সন্তুকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন এবং তাকে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে। আহত অবস্থায় সন্তুকে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের কথায়, “বিদ্যুৎ আসুক বা না আসুক, এই চোর যেন আর ফিরে না আসে।” তাদের এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যার পর গ্রামে এখন এক স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে। অনেকেই মজা করে বলছেন, “এবার হয়তো স্ট্রিট লাইটগুলোও নিশ্চিন্তে রাত কাটাবে!”