২৬ জানুয়ারি থেকে কীভাবে স্বাধীনতা দিবস বদলে গেল ১৫ অগস্টে? জেনেনিন এর পুরো কাহিনী

রাত পোহালেই ভারতের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছরের মতোই এবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। যখন ভারত স্বাধীনতার শতবর্ষের দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন একবার ফিরে দেখা প্রয়োজন, কী কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে।

প্রায় দু’শো বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু এই স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ আন্দোলন আর অসংখ্য দেশপ্রেমীর আত্মত্যাগ। ১৯২৯ সালে প্রথম পূর্ণ স্বরাজের ডাক দেন জওহরলাল নেহরু। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু-র মতো নেতাদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে আপামর ভারতবাসী। এই সময় স্থির হয়েছিল যে ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে।

দেশভাগ ও স্বাধীনতা দিবসের পরিবর্তন
পরবর্তীতে যখন ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দেশভাগের বিষয়টি সামনে আসে। মুসলিম লীগের আলাদা দেশের দাবিতে এই দেশভাগ অনিবার্য হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়সীমা এগিয়ে আনেন। ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে ৪ জুলাই, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পেশ করা হয় এবং ১৮ জুলাই তা গৃহীত হয়। এই বিলের ভিত্তিতেই ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে তৎকালীন ভারতবর্ষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। ১৫ আগস্ট, ঘড়ির কাঁটা ১২টা পার হতেই ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয় ভারত। অন্যদিকে, ১৪ আগস্ট পাকিস্তান তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। এইভাবেই বহু সংগ্রাম আর ত্যাগের পর আমরা আজকের স্বাধীন ভারত পেয়েছি। দেশের এই বিশেষ দিনে সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য।