‘পুলিশি মারধরের’ ভিডিও চেয়েও পেল না লালবাজার, হয়রানির শিকার অভিযোগকারী

সম্প্রতি একটি মিছিলে পুলিশের হাতে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগের পর লালবাজারের পক্ষ থেকে ভিডিও চেয়ে আবেদন জানানো হলেও, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো ভিডিও জমা পড়েনি। অন্যদিকে, অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই মহিলার স্বামী।
আরজি করে নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন দুপুর ২টা নাগাদ কিড স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহেরু রোডের সংযোগস্থলে কয়েকজন পুলিশকর্মী তার স্ত্রীর ডান হাত ধরে টানেন, যার ফলে তার হাতের শাঁখা ভেঙে যায়। এরপর পুলিশের লাঠির আঘাতে তার স্ত্রীর মাথায় এবং পিঠে আঘাত লাগে।
এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গিয়েও তিনি চরম হয়রানির শিকার হন বলে দাবি করেছেন। প্রথমে তিনি শেক্সপিয়র সরণি থানায় ইমেল করেন, কিন্তু তাকে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। সেখান থেকে আবার নিউ মার্কেট থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে তিনি সরাসরি পুলিশ কমিশনার মনোজকুমার বর্মাকে ইমেল করার পর নিউ মার্কেট থানায় তার অভিযোগ নথিভুক্ত হয় এবং তদন্ত শুরু হয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ জানায়, প্রায় ৪০০-৫০০ জন লোক ডোরিনা ক্রসিংয়ে জড়ো হয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে এগোনোর চেষ্টা করছিল। সেখান থেকে পুলিশকে গালিগালাজ করা হয় এবং পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয়। পুলিশ তখন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। পুলিশকর্মীদের মারধরের কিছু ছবিও তারা সংবাদমাধ্যমকে দেখায়।
লালবাজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, যদি কারও কাছে পুলিশের মারধরের কোনো ভিডিও থাকে, তাহলে তা যেন তাদের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ভিডিও জমা পড়েনি। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।