প্রায় ৩০০০ পথ কুকুর হত্যার দাবি করে বিতর্কে কর্ণাটকের জেডিএস নেতা

দিল্লিতে পথ কুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, ঠিক তখনই কর্ণাটকের জনতা দল (সেকুলার) নেতা এসএল ভোজেগৌড়া প্রায় ৩০০০ পথ কুকুর হত্যা করার দাবি করে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তিনি এই কাজটি শিশুদের সুরক্ষার জন্য করেছেন এবং প্রয়োজনে এর জন্য জেলে যেতেও রাজি বলে জানিয়েছেন।
কর্ণাটকের বিধান পরিষদের সদস্য ভোজেগৌড়া বলেন, তিনি যখন চিকমাগালুরু মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন, তখন এই কাজ করিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, “পশুদের নিয়ে আমাদেরও উদ্বেগ আছে। কিন্তু পশুপ্রেমিকরা আলাদা ধরনের ভয়ের হন। আপনারা বাচ্চাদের কষ্টটা বুঝুন। প্রতিদিন আমরা কুকুরের কামড়ানোর ঘটনা দেখছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।”
ভোজেগৌড়া আরও বলেন, “যদি কেউ পথ কুকুর সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন, তাহলে সরকার যেন তাদের বাড়ির মধ্যে কয়েকটি কুকুর ছেড়ে দেয়, যাতে তারা বাস্তবটা বুঝতে পারেন। যদি তাদের সন্তানকে পথকুর কামড়ায়, তাহলে তারা কী করবেন?”
কুকুর হত্যার পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “(কুকুরের) মাংসের সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে প্রায় ২,৮০০ কুকুরকে খাইয়েছিলাম। আর নারকেল গাছের তলায় পুঁতে দিয়েছিলাম।” তিনি আরও দাবি করেন যে, কুকুরের মৃতদেহ জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং ছেলেমেয়েদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে তিনি জেলে যেতেও রাজি আছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন থেকে প্রায় ৫০০০ পথ কুকুরকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পর থেকেই পশুপ্রেমী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। পরে প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন। এমন এক সময়ে ভোজেগৌড়ার এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।