পুরীর জগন্নাথ মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, আটক এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি

স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি লিখে রাখার ঘটনায় ওড়িশা পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার পিনাকী মিশ্র জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক তদন্তে আটক ব্যক্তিকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জগন্নাথ মন্দিরের পাশের দেওয়ালে হুমকি বার্তা লেখার কথা স্বীকার করেছেন।
বুধবার সকালে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মা বুধ ঠাকুরানি মন্দিরের দেওয়ালে ওড়িয়া ভাষায় লেখা একটি হুমকি বার্তা দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল, “জঙ্গিরা জগন্নাথ মন্দির উড়িয়ে দেবে। শ্রীমন্দির ধ্বংস করে দেবে জঙ্গিরা। আমায় ফোন করুন নাহলে ধ্বংসলীলা চলবে।” সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, সেখানে বেশ কিছু ফোন নম্বর এবং ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী’ ও ‘দিল্লি’-র উল্লেখও ছিল।
পুরীর পুলিশ সুপার বলেন, “আমাদের অফিসাররা একজনকে আটক করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি পুলিশের কাছে লেখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কখন এবং কেন তিনি এটি লিখেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” পুলিশ আরও জানায় যে, অতীতেও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এ ধরনের কাজ করেছেন।
তবে এই ঘটনায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। যে মন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়, সেখানে কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে দেওয়ালে এই ধরনের হুমকি বার্তা লেখা সম্ভব হলো, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে, সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হুমকির প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়েছে। যদিও পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।