পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়, ৯২ রানে অলআউট পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৯২ রানে পাকিস্তানকে অলআউট করে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে স্বাগতিকরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে। এটি ১৯৯১ সালের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয় এবং ১৯৮৮ সালের পর ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ জয়।
২৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। দলের কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। অধিনায়ক বাবর আজম মাত্র নয় রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান, এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ফর্ম আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পাঁচজন ব্যাটসম্যান, সাইম আইয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী এবং আবরার আহমেদ, শূন্য রানে আউট হন। পাকিস্তানের পুরো দল মাত্র ২৯.২ ওভারেই ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে, তরুণ বোলার জেডেন সিলস অসাধারণ বোলিং করে ৭.২ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ছয়টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া গুদাকেশ মতি দুটি এবং রোস্টন চেজ একটি উইকেট পান। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র সালমান আলি আগা ৩০ রানের একটি প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও, তা দলের পরাজয় ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান সংগ্রহ করে। হোপ ১২০ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যা ১০টি চার এবং ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল। তার এই অসাধারণ ইনিংসের জন্য তাকে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়। জাস্টিন গ্রিভসও শেষ দিকে ২৪ বলে ৪৩ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে ২৯০ রানের উপরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
ম্যাচ শেষে শাই হোপ তার দলের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের জন্য উইকেটে টিকে থাকাটা খুব জরুরি ছিল। আমি চেয়েছিলাম দলকে একটা ভালো ফিনিশিং দিতে। ছেলেদের এই সাফল্য দেখে আমি গর্বিত।” তিনি জেডেন সিলসের বোলিংয়েরও প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরাজিত হওয়ার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ জয় কোচ ড্যারেন স্যামির জন্য এক স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে এবং ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।