“টাটাদের কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে”-সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে ফের হুঙ্কার শুভেন্দুর

আলুর ন্যায্য দাম না পাওয়া এবং রাজ্য সরকারের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সিঙ্গুরে এক কৃষক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবারের এই বিক্ষোভ থেকে তিনি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন এবং কৃষকদের দুর্দশার জন্য সরাসরি তাদের দায়ী করেন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সিঙ্গুরের কৃষকরা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। “কারখানা হয়নি, ফসল হয়নি, মাছ চাষও হয়নি। টাটাদের কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু কারখানা নয়, নষ্ট হয়েছে জমিও,” তিনি বলেন। এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যে রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ৩৩ লক্ষ কৃষক পরিবারকে কেন্দ্রের ‘পিএম কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে, কারণ তাদের নাম তালিকায় পাঠানো হচ্ছে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী জানান যে মোদি সরকার প্রতি বছর ৩৭ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিলেও, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন যে ভাগচাষিদের রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “কালীপুজো গেলেই আলুর সিজন শুরু হবে। তখন ১২০০ টাকার সার ২৫০০ টাকা হয়ে যাবে।” তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান যে পূর্ব বর্ধমান, মেদিনীপুর ও হাওড়ার মতো আলু উৎপাদিত অঞ্চল থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু কেনা হোক। এই দাবিতে তিনি কৃষকদের আন্দোলন আরও তীব্র করার কথা বলেন এবং প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “ওদের একটাই লক্ষ্য—মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক আঁকড়ে রাখা, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলমানদের ঢুকিয়ে আনা এবং ভোটের আগে ভাতা দিয়ে তোষণ করা।”

এই বিক্ষোভ এবং শুভেন্দু অধিকারীর কড়া মন্তব্য রাজ্যের কৃষি নীতি এবং কৃষকদের অধিকার নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কৃষকদের পক্ষ থেকে এই আন্দোলন ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।