ভোটার তালিকায় কারচুপির পাল্টা অভিযোগ বিজেপির, সনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন

বিহারের এসআইআর (সার্ভিল্যান্স অফ ইনক্লুসিভ রেজিস্টার) এবং ভোটচুরি নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগের মুখে এবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের দাবি, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই তার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

অনুরাগ ঠাকুর এই বিষয়ে বলেন যে, সনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার তিন বছর আগেই তার নাম ভোটার তালিকায় উঠেছিল। অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে ১৯৮০ সালের নয়া দিল্লি কেন্দ্রের ভোটার তালিকার একটি ফটোকপি শেয়ার করেন, যেখানে সনিয়া গান্ধীর নাম রয়েছে।

বিজেপির পোস্ট অনুযায়ী, সনিয়া মাইনো ইতালিতে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। এরপর তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পান ১৯৮৩ সালে। অথচ ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অমিত মালব্য তার পোস্টে লিখেছেন, “এটি ১৯৮০ সালের নয়া দিল্লি কেন্দ্রের ভোটার তালিকার ফটোকপি। সনিয়া গান্ধী যখন ভারতের নাগরিকও ছিলেন না, তখনই তিনি ভোটার হয়ে গিয়েছিলেন। এটা ভোটার তালিকায় কারচুপি নয়তো কী?”

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে, যখন গান্ধী পরিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকত, তখন রাজনৈতিক প্রভাবে সনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও ১৯৮২ সালে তা আবার বাদ দেওয়া হয় এবং ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তার নাম পুনরায় যুক্ত করা হয়। অমিত মালব্য আরও বলেন, “তখনও জালিয়াতি করা হয়েছিল। ভোটার তালিকায় নাম তোলার শেষ তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, কিন্তু সনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন এপ্রিলে।”

বিজেপির এই অভিযোগের জবাবে কংগ্রেস নেতা তারিক আনওয়ার বলেন, “সনিয়া গান্ধী নিজে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চাননি, সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের যিনি আধিকারিক ছিলেন, তিনিই এই কাজ করেছিলেন। তাই নির্বাচন কমিশনই এর জন্য দায়ী।”

এই নতুন বিতর্কের ফলে এসআইআর এবং ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর আরও তীব্র হয়েছে।