ডায়মন্ড হারবারে ভোটার বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন, অভিষেকের বিরুদ্ধে সরব অনুরাগ ঠাকুর

নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা যখন ‘এসআইআর’ (সার্ভিল্যান্স অফ ইনক্লুসিভ রেজিস্টার) নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে, ঠিক তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই কেন্দ্রে গত চার বছরে অস্বাভাবিক হারে ভোটার বেড়েছে।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অনুরাগ ঠাকুর জানান, ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে গত চার বছরে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে। এই বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ৩০১টি বুথে ১৫ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে গত চার বছরে। সব জায়গায় তৃণমূল জিতেছে। তাহলে কি ভুয়ো ভোটার দিয়েই আপনি ভোটে জিতছেন?” তিনি ফলতা, ডায়মন্ড হারবার, বিষ্ণুপুর, মহেশতলা এবং বজবজের আলাদা আলাদা পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই অভিযোগ করেন।
যদিও বাংলায় এখনো এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, তার আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এই অস্বাভাবিক ভোটার বৃদ্ধির পেছনে কি ভুয়ো ভোটারদের ভূমিকা আছে?
অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “দিল্লির যে বিধানসভা কেন্দ্রে ২৬ হাজার ভোটার বেড়েছে, যেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৪ হাজার ভোটে হেরেছেন, সেখানে বিজেপির সাংসদদের বাংলোর ঠিকানায় আড়াইশোজন করে নাম উঠেছে শেষ এক মাস-দেড় মাসে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবারে কখনও এক মাস-দু’মাসে নাম ওঠেনি।” তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা তৈরি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং পাঁচ বছর ধরে নাম ওঠে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বিজেপির এই অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের পার্টি কি রিপোল চেয়েছিল? ভোটার লিস্টে টাইপিং এরর চলতে থাকে!” প্রসঙ্গত, শেষ লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে ৭ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।
এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী দিনে এই ইস্যুটি বাংলার রাজনীতিতে আরও উত্তাপ ছড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।