বিশেষ: দৈনিক ২০টি সিগারেটে সুখটান আয়ু কমাচ্ছে ১৩ বছর! ধূমপায়ীদের সতর্ক করলো বিশেষজ্ঞরা

তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, তামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। নিয়মিত ধূমপায়ীদের গড় আয়ু ১৩ বছর কমে যায়, যা তামাকের ভয়াবহতা প্রমাণ করে।

তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব:

  • ক্যান্সার: তামাক সেবন সরাসরি ফুসফুস, মুখ, গলা, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কিডনি এবং মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।
  • হৃদরোগ: ধূমপান হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ। এটি ধমনীগুলোকে সংকীর্ণ করে দেয়, যার ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​প্রবাহ ব্যাহত হয়।
  • শ্বাসকষ্ট: তামাক ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)-এর মতো গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • প্রজনন স্বাস্থ্য: ধূমপান পুরুষ ও মহিলা উভয়ের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বন্ধ্যাত্ব বা অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • অন্যান্য প্রভাব: এছাড়াও, ধূমপান দাঁত, মাড়ি, চোখ এবং ত্বকের গুরুতর ক্ষতি করে।

শিশুদের তামাক থেকে রক্ষা:

বিশেষজ্ঞরা শিশুদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন: ১. শিশুদের সামনে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা। ২. তামাকজাত দ্রব্য শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা। ৩. শিশুদের তামাক সেবনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা।

ইলেকট্রনিক সিগারেট ও নতুন উদ্বেগ:

ইলেকট্রনিক সিগারেট (ভেপিং) অনেক সময় ধূমপান ছাড়ার একটি উপায় হিসেবে প্রচার করা হলেও, এটি ধূমপানের প্রতি আসক্তি আরও বাড়াতে পারে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এর আসক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে সকলের প্রতি আহ্বান, তামাকমুক্ত একটি সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করুন।