“আপ ক্রোনোলজি সমঝ লিজিয়ে”-১-২-৩ করে নির্বাচন কমিশনকে যা বোঝালেন অভিষেক?

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে আবারও সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন, যদি ভোটার তালিকায় ত্রুটি থাকে, তাহলে অবিলম্বে লোকসভা ভেঙে নতুন করে ভোট হওয়া উচিত।

মঙ্গলবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই দাবি করেছিলেন। তার মতে, নির্বাচন কমিশনের ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) যদি করতেই হয়, তাহলে তা কেবল ভোটমুখী বিহার বা বাংলায় সীমাবদ্ধ না রেখে সারা দেশে করা উচিত। তিনি বলেন, এর প্রথম ধাপ হওয়া উচিত লোকসভা ভেঙে দেওয়া।

অভিষেক তার যুক্তির সপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে ২০২৪ সালের নির্বাচন হয়েছে, তাতে যদি ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই ভোটারদের দেওয়া ভোটও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এর ফলে সেই ভোটে জয়ী হওয়া সাংসদদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির ২৪০ জন সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও ইস্তফা দেওয়া উচিত।

বুধবারের পোস্টে অভিষেক লেখেন, “নৈতিকতার খাতিরে এখনই লোকসভা ভেঙে দেওয়া উচিত। আর SIR হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে না করে গোটা দেশেই করা হোক।” তিনি নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে একটি ক্রোনোলজি বা সময়ক্রমের কথাও উল্লেখ করেন: “প্রথমে সংসদ ভাঙা হোক, এরপর গোটা দেশে SIR হোক, এবং তারপরে ভোটের ময়দানে সবাই আবার মানুষের মুখোমুখি হোক।”

অভিষেকের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদিকে বিজেপি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয়।