স্বাধীনতা দিবসে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! এই সময়ের মধ্যে খুললেই বিপদ

স্বাধীনতা দিবসে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মহারাষ্ট্রের কল্পনা-ডোমবিভালি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (KDMC) এবং হায়দ্রাবাদের গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (GHMC) বিতর্কের মুখে পড়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি, যারা এটিকে নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে।

KDMC-এর নির্দেশিকা ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
KDMC-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৪ই আগস্ট মধ্যরাত থেকে ১৫ই আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত সমস্ত কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে। এই নিয়ম অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। KDMC-এর ডেপুটি কমিশনার কাঞ্চন গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জাতীয় দিবসগুলির মর্যাদা রক্ষার জন্য ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই নিয়ম কার্যকর থাকে। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) এবং শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)। এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র অওহড় ১৫ই আগস্ট ‘মটন পার্টি’র আয়োজন করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, সেদিনই আপনি আমাদের খাওয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছেন।” শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা আদিত্য ঠাকরে এই নির্দেশের জন্য KDMC কমিশনারের বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।

হায়দ্রাবাদ ও মহারাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানেও বিতর্ক
একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে GHMC। তাদের নির্দেশিকায় ১৫ ও ১৬ই আগস্ট কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও छत्रপতি সাম্ভাজিনগরে জারি হওয়া অনুরূপ নির্দেশের বিরোধিতা করে বলেছেন, “বড় শহরে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ থাকেন। আবেগের কারণে একদিনের জন্য মানুষ মেনে নিতে পারেন, কিন্তু বার বার এভাবে নির্দেশ জারি করা ঠিক নয়।” এই বিতর্কের ফলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সরকারি সিদ্ধান্তের সীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।