ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার লিস্টে সনিয়া গান্ধীর নাম, বিস্ফোরক দাবি BJP-র

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে সরব বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি এবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে, ইতালিতে জন্ম নেওয়া সনিয়া গান্ধী ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার তিন বছর আগেই, অর্থাৎ ১৯৮০ সালে, ভারতের ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
অনুরাগ ঠাকুরের এই অভিযোগের পর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য তার এক্স হ্যান্ডেলে ১৯৮০ সালের নয়াদিল্লি নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকার একটি ফটোকপি শেয়ার করেছেন। সেই তালিকার ফটোকপিতে দেখা যাচ্ছে, সফদরজং রোডের ১৪৫ নম্বর ভোটকেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর নাম রয়েছে।
মালব্যের দাবি, সেই সময়ও সনিয়া গান্ধীর ইতালীয় নাগরিকত্ব বহাল ছিল। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, “ভারতের ভোটার তালিকার সঙ্গে সনিয়া গান্ধীর যোগাযোগ নির্বাচনী আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্ভবত এটিই রাহুল গান্ধীর অযোগ্য ও অবৈধ ভোটারদের নিয়মিত করার প্রতি আগ্রহ এবং সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (SIR) প্রক্রিয়ার বিরোধিতার কারণ।”
Sonia Gandhi’s tryst with India’s voters’ list is riddled with glaring violations of electoral law. This perhaps explains Rahul Gandhi’s fondness for regularising ineligible and illegal voters, and his opposition to the Special Intensive Revision (SIR).
Her name first appeared… pic.twitter.com/upl1LM8Xhl
— Amit Malviya (@amitmalviya) August 13, 2025
এই অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিজেপি ভোটার তালিকা নিয়ে চলমান বিতর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করল। অনুরাগ ঠাকুর এই অভিযোগকে আরও জোরালো করে দাবি করেছেন যে, কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করায় তারা এখন ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ চালাচ্ছে।”
এই গুরুতর অভিযোগের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কংগ্রেস এবং সনিয়া গান্ধী এই বিষয়ে কী জবাব দেন।