কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষ মাস..! ঘাটালের জলমগ্ন যন্ত্রনায় হাসি ফুটল নৌকাচালকদের মুখে

দফায় দফায় বন্যায় বিপর্যস্ত ঘাটাল, কিন্তু এই দুর্যোগেও কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। টানা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ঘাটাল জলমগ্ন থাকায় নৌকাচালকদের আয় বেড়েছে। যদিও সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের দুর্ভোগের শেষ নেই, তবুও এই সময়ে নৌকাচালকদের বাড়তি উপার্জন তাদের দৈনন্দিন জীবনকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় নৌকাচালকদের সুবিধা
অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ঘাটাল প্রায় দেড় মাস ধরে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে ডিঙি ও নৌকা। ঘাটাল পৌর এলাকার পাশাপাশি ঘাটাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জলে ভাসছে। এই অবস্থায় প্রশাসন সরকারি খেয়া পরিষেবা চালু করেছে, যা বিনামূল্যে যাত্রীদের পারাপার করছে। এর পাশাপাশি বাণিজ্যিক নৌকাচালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে উপার্জন করছেন। গত বছর মাত্র ৬-৭ দিনের জন্য বন্যা হয়েছিল, ফলে তাদের তেমন আয় হয়নি। কিন্তু এই বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে তাদের রোজগার অনেকটাই বেড়েছে।
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উপার্জন
নৌকাচালকদের জন্য সারাবছর তেমন কাজ থাকে না। বন্যার এই সময়ে তারা বাড়তি কিছু টাকা উপার্জন করলেও, মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি মোটেও সহজ নয়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই তাদের এই কাজ করতে হয়। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের আরগোড়া, চাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ও বাণিজ্যিক খেয়া চলছে। নৌকাচালকরা জানিয়েছেন, এই বাড়তি উপার্জন তাদের সংসার চালাতে সাহায্য করছে।