দীর্ঘ সময় রেলগেট বন্ধ, খড়দহে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা

নিত্যদিনের দুর্ভোগ আর দীর্ঘ অপেক্ষার প্রতিবাদে আজ সকালে খড়দহ ৮ নম্বর রেলগেটে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অফিস, স্কুল এবং কলেজ যাওয়ার ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট ধরে রেলগেট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এদিন তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
জনগণের দুর্ভোগ:
খড়দহ ৮ নম্বর রেলগেট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই গেটটি পূর্বপাড় এবং পশ্চিমপাড়কে সংযুক্ত করে। কিন্তু অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বারবার রেলগেট বন্ধ থাকায় উভয় দিকেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছোট গাড়ি, রিক্সা, টোটো থেকে শুরু করে বড় গাড়ি—সবই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে। এমনকি হেঁটে যাতায়াতকারী মানুষও চরম ভোগান্তির শিকার হন। এর ফলে সময়মতো অফিসে পৌঁছানো, স্কুল-কলেজে যাওয়া বা অন্যান্য জরুরি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে বচসা:
আজ সকালেও একই চিত্র দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকায় ক্ষিপ্ত জনতা রেলের কেবিন গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা পুলিশের সঙ্গেও তাদের বচসা হয়। এক বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “৩৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ওরা সরকারি চাকরি করে, তাই ওদের টাকাটাই কি টাকা? আমরা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করি, আমাদের ইতিমধ্যেই ৪০ মিনিটের বেতন কেটে নেওয়া হবে।”
জনগণের এই ক্ষোভ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, রেলের এই অব্যবস্থা তাদের জীবনযাত্রায় কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই বিক্ষোভের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়। স্থানীয়রা চাইছেন, দ্রুত একটি স্থায়ী সমাধান করা হোক, যাতে তাদের আর এই ধরনের দুর্ভোগে পড়তে না হয়।