অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং থাকা উচিত নয়, মন্তব্য শতাব্দী রায়ের

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, এবং অন্যান্য নির্বাচনের মতোই রাজনীতিতে আবারও তারকাদের আনাগোনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী ও সাংসদ শতাব্দী রায় এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে, অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং থাকা উচিত নয়। তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক ও বিনোদন জগতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শতাব্দী রায় নিজে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তিনি একইসাথে অভিনয় এবং সাংসদ পদ সামলাচ্ছেন। অথচ তার এমন মন্তব্যের কারণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। একটি পডকাস্টে তিনি বলেন, “অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়। ছবির কাজটা তো শৈল্পিক জায়গা। যারা ছবি ভালোবাসেন তাদের উচিত ছবিতে থাকা।”
বর্তমানে তৃণমূল, বিজেপি এবং বামফ্রন্ট—সব রাজনৈতিক দলেই বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং পরিচালক সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। দেব, সোহম, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, রচনা ব্যানার্জি প্রমুখ বিনোদন জগতের তারকারা রাজনীতি ও অভিনয় উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে কাজ করছেন। অন্যদিকে, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তারকারা রাজনীতির ময়দানেই বেশি সক্রিয়।
এমনকি নতুন প্রজন্মের তিয়াসা লেপচা, সোহেল দাস, সৌমিতৃষা কুন্ডু এবং ঋত্বিকা সেনের মতো শিল্পীরাও বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন। যখন প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল তারকাদের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে, তখন শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তাঁর মতে, শিল্প একটি নিরপেক্ষ স্থান হওয়া উচিত, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাব থাকা উচিত নয়। এই মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে তারকাদের দলে টানার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।