‘ধৈর্য ধরুন ডেটা বোমা ফাটবে’, SIR ‘কারচুপি’তে দ্রুত ‘প্রমাণ’ জনসমক্ষে তুলে ধরার দাবি রাহুল গান্ধীর

নির্বাচন কমিশনের SIR (Special Intensive Revision) অর্থাৎ ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার বিরোধী সাংসদরা দিল্লিতে ভোট চুরির অভিযোগে বিরাট মিছিল করার পর মঙ্গলবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সমীক্ষার নামে ভোটার তালিকায় যে কারচুপি হয়েছে, তার প্রমাণ খুব দ্রুত জনসমক্ষে আনা হবে, যা প্রকাশ পেলে কার্যত একটি ‘ডেটা বোমা’ ফাটবে।
রাহুল গান্ধী গত কয়েকদিন ধরেই ভোটার কারচুপির অভিযোগ তুলে আসছেন। কর্ণাটকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ভোটার তালিকা ধরে প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে, কীভাবে ছয়টি ভিন্ন পদ্ধতিতে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, একই ঠিকানায় ৮০ জন ভোটারের নাম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার ভুয়ো ঠিকানা এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় নাম থাকার মতো অনিয়ম ঘটেছে।
মঙ্গলবার লোকসভা চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, “আর কিছুদিন দাঁড়ান, একটু ধৈর্য ধরুন। এটা জাতীয় স্তরে পদ্ধতিগতভাবে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানে, আমরা জানি।” কমিশনের প্রমাণ চাওয়ার দাবিকে নস্যাৎ করে তিনি বলেন, “আগে প্রমাণ ছিল না, এখন প্রমাণ রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সংবিধান রক্ষা করি। এক ব্যক্তি, এক ভোট—এটি সংবিধানের মূল ভিত্তি এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব এটি নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা তা করেনি। আমরা থামব না। আভি পিকচার বাকি হ্যায়।”
রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণকে সমর্থন করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এই ভোটার তালিকায় কারচুপি থাকলে ২০২৪ সালের নির্বাচনও অবৈধ এবং সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি SIR-এর পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। তাদের মতে, বহু বিদেশি, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। তারা দাবি করেছে যে, ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে এবং এই ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের খুঁজে বের করাই SIR-এর প্রধান উদ্দেশ্য। তবে রাহুল গান্ধীর এই নতুন চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উত্তাপ তৈরি করেছে।