রেলের মেঝেতে শুয়েছিল, ‘এই তুমি কে?’…দিল না উত্তর! তারপর যা ঘটলো? রেল ডাকাতির অভিনব কৌশল প্রকাশ্যে

ট্রেনে ডাকাতি বা চুরির ঘটনা নতুন নয়। নিত্যদিন নিত্যনতুন কৌশলে যাত্রীদের জিনিসপত্র লুঠ করা হয়। সম্প্রতি ভেরাভল–পুণে এবং আহমেদাবাদ–কোলহাপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার সোনার গহনা চুরির ঘটনা রেল পুলিশকে অবাক করে দিয়েছে। পরে তদন্তে নেমে এক অভিনব চুরির কৌশলের পর্দাফাঁস হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ডাকাত দলের সদস্যদের।
কীভাবে ঘটল এই চুরি?
রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পর আরপিএফ ও জিআরপি-র একটি যৌথ টাস্ক ফোর্স তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা জানতে পারে যে, এই চুরির পিছনে ‘সাঁসি গ্যাং’-এর সদস্যরা জড়িত।
জেরায় অভিযুক্তরা জানায়, তারা দল বেঁধে ভিড়ে ঠাসা কামরায় উঠত। রাতের বেলা যখন কামরার আলো নিভে যেত, তখন তারা মেঝেতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে পড়ত। আশেপাশের যাত্রীরা টের পেত না যে চোর তাদের পাশেই শুয়ে আছে। গভীর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ত, তখন তারা সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে যাত্রীদের জিনিসপত্র চুরি করত।
এই অভিনব কৌশলের মাধ্যমে তারা একাধিক কামরায় ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের জিনিসপত্র চুরি করত। এই অভিযানে পুলিশ শুধু চোরদেরই ধরেনি, বরং চুরি যাওয়া গয়নাও উদ্ধার করেছে।
নোটবন্দির কারণে ডাকাতির টাকা পুড়িয়ে দিয়েছিল ডাকাতেরা
ট্রেনে ডাকাতির আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। সালেম-চেন্নাই এগমোর এক্সপ্রেস থেকে প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা লুট হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, ডাকাতির ঠিক তিন মাস পর কেন্দ্রীয় সরকার যখন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে, তখন ডাকাতেরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাদের হাতে থাকা প্রায় ২ কোটি টাকা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তারা সেই টাকা পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে বাধ্য হয়েছিল।