ফের ওড়িশায় ভয়াবহতা! গায়ে আগুন দিল ১৩ বছরের কিশোরী, হাসপাতালেই শেষ ছাত্রীর প্রাণ

ওড়িশায় একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ফের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং সামাজিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। গত ১২ই জুলাই বালেশ্বরে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল, যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বারগড় জেলায় ১৩ বছরের এক কিশোরী নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পরও শেষ রক্ষা হয়নি।
কী ঘটেছিল বারগড়ে?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী তার মামার বাড়িতে ছিল। কোনো এক অজানা কারণে সে নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশের মাঠ থেকে গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, এবং পরে সম্বলপুর জেলার বুরলার ভিআইএমএসএআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শেষ পর্যন্ত সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে।
একের পর এক ঘটনায় উদ্বেগ
ওড়িশায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া এমন কয়েকটি ঘটনা রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে:
বালেশ্বরের ঘটনা: গত ১২ই জুলাই বালেশ্বরের ফকিরমোহন কলেজের এক ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বালাঙ্গায় নাবালিকার মৃত্যু: গত ১৯ই জুলাই বালাঙ্গায় তিন দুর্বৃত্ত এক নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় দিল্লিতে তার মৃত্যু হয়। যদিও পরে পুলিশ এটিকে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ বলে জানায় এবং পরিবারের পক্ষ থেকেও এই দাবি সমর্থন করা হয়।
কেন্দ্রপাড়ার ঘটনা: গত ৬ই আগস্ট কেন্দ্রপাড়া জেলায় এক কলেজছাত্রীর দগ্ধ দেহ পাওয়া যায়।
এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো ওড়িশার সামাজিক পরিস্থিতিতে এক গভীর সংকট তুলে ধরেছে, যেখানে তরুণ প্রজন্ম এমন চরম পথ বেছে নিচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, এবং এর পেছনে সামাজিক বা পারিবারিক কোনো চাপ আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।