কাকার রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভাইপোর ‘দাদাগিরি’, চেঁচিয়ে যা বলছে…? দেখুন ভিডিও

এবার কাকার রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। একটি টোল গেটে টোল দিতে অস্বীকার করে ভাঙচুর চালান নিখিল চৌধুরী নামে এক যুবক, যিনি নিজেকে স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের ভাইপো বলে দাবি করেছেন। তার এই কাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে।
ঘটনার বিবরণ: টোল দিতে অস্বীকার এবং মারমুখী আচরণ
মধ্যপ্রদেশের একটি টোল গেটে নিখিল চৌধুরীর গাড়ি থামানো হলে তার কাছে টোল বাবদ টাকা চাওয়া হয়। নিখিল দাবি করেন যে টোল গেটের কর্মীরা তার কাছে অন্যায়ভাবে টাকা চেয়েছেন। এরপরই তিনি গাড়ি থেকে নেমে কর্মীদের দিকে তেড়ে যান এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। নিজের কাকার পরিচয়ে তিনি কর্মীদের হুমকি দিতে থাকেন এবং হাতে লাঠি নিয়ে তাদের ভয় দেখাতে শুরু করেন। তার এই মারমুখী আচরণ দেখে টোল গেটে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যান।
चाचा विधायक हैं हमारे … सच में … ये बीजेपी विधायक मनोज चौधरी के भतीजे हैं, पेशे से डॉक्टर हैं … टोल वालों ने पैसे मांगे तो आरोप है कहने लगे — चाचा विधायक हैं हमारे, और तोड़फोड़ तो कैमरे में है ही… pic.twitter.com/SWUch0lCYV
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) August 11, 2025
পুরো ঘটনাটির ভিডিও রেকর্ড করা হয় এবং তা দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, নিখিল চৌধুরী কিভাবে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিখিল চৌধুরীকে আটক করে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও আইনি পদক্ষেপ
এই ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিজেপি বিধায়কের ভাইপোর এই ধরনের আচরণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও, এই বিষয়ে এখনও বিজেপি বা অভিযুক্ত বিধায়কের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। একজন সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ এবং জনসমক্ষে আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখানোর জন্য নিখিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে যে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষ কতটুকু নিরাপদ।