OMG! কামে পাগল হয়ে গোসাপকে ধর্ষণ চার ব্যক্তির, কীর্তি শুনে শিউরে উঠল গোটা মহারাষ্ট্র

মহারাষ্ট্রের সাহ্যাদ্রী টাইগার রিজার্ভ থেকে এক চরম মানবতাবিরোধী এবং ভয়াবহ অভিযোগ সামনে এসেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বেঙ্গল মনিটর লিজার্ডকে ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা শুধু মহারাষ্ট্র নয়, সারা দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বনকর্মী বিশাল মালি এই ঘটনার ভিডিও উদ্ধার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “মানুষের দ্বারা পোষা গরু বা ছাগলের মতো পশুর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনা দুর্লভ হলেও, মনিটর লিজার্ডের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর ঘটনা আমার জানা নেই।” তিনি জানান, অভিযুক্তরা ওই বিপন্ন প্রজাতির মনিটর লিজার্ডটিকে ধর্ষণ করার পর মেরে ফেলে এবং পরে রান্না করে খেয়েও ফেলে। এই জঘন্য ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভারতে মোট ৭৩ প্রজাতির মনিটর লিজার্ডের মধ্যে মাত্র চারটি প্রজাতি রয়েছে এবং তাদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় বনকর্মীরা ক্ষুব্ধ। বর্তমানে বনকর্মীরা জীবজন্তুদের সঙ্গে যৌন নির্যাতনকে একটি কঠোর অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য কোর্টে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান থাকতে পারে।

ভারতে ‘বেস্টিয়ালিটি’ বা পশুর সঙ্গে মানুষের অস্বাভাবিক যৌন আচরণকে ১৯৬০-এর দশকের ব্রিটিশ শাসনামলের আইন অনুসারে “প্রকৃতির বিরুদ্ধে” অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ২০১৮ সালে কিছু আইনি বিধান পরিবর্তিত হয়েছে, এই অপরাধ এখনও কঠোর শাস্তিযোগ্য। তবে, ভারতে এই অপরাধের সঠিক পরিসংখ্যান নেই, কারণ লোকলজ্জা এবং কলঙ্কের ভয়ে এ ধরনের ঘটনা কম রিপোর্ট হয়।

প্রখ্যাত ভারতীয় যৌনবিশেষজ্ঞ নারায়ণ রেড্ডি জানান, “বেস্টিয়ালিটি নিয়ে সমাজে অনেক লজ্জা ও কলঙ্ক রয়েছে, যার কারণে এ ধরনের ঘটনা সামনে আসে না। এছাড়া পশুরাও নিজেদের কথা বলতে পারে না।” তিনি তার কর্মজীবনে অনেক বেস্টিয়ালিটি ও জুওফিলিয়া (পশুর প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ) মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।

এই ধরনের অপরাধের পেছনের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভ্রান্ত। আমেরিকান লেখিকা জোয়ানা বোর্ক এটিকে “ক্ষমতার লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেখানে মানুষেরা নিজেদের ইচ্ছামতো অন্য প্রাণীর ওপর শোষণ চালায়। তিনি বলেন, “তারা পশুর প্রতি সেই অত্যাচার করেছে যা অনেক পুরুষ নারীদের বিরুদ্ধে করে থাকেন, কিন্তু পশুর আকারে।” এই ঘটনা আধুনিক যৌন সহিংসতার এক ভয়াবহ নিদর্শন, যেখানে অপরাধীরা নিজেদের কাজকে গৌরবের মতো প্রদর্শন করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যতক্ষণ না সমাজে যৌন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা শুরু হয়, ততক্ষণ বেস্টিয়ালিটির মতো সমস্যাগুলোর গভীরতা বোঝা কঠিন হবে এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না।