সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি অশ্লীল ভিডিও ঘিরে বিতর্কের জেরে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, ওই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিকে ‘দিলীপ ঘোষ’ বলে দাবি করে প্রচার চালানো হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, এটি তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

লিখিত অভিযোগে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁকে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হচ্ছে। এফআইআরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি যৌন দৃশ্যভিত্তিক ভিডিও তৈরি করেছে বা ছড়িয়েছে। ভিডিওটিতে এক পুরুষ ও এক মহিলার ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখানো হয়েছে, যেখানে মহিলার মুখ এবং শরীরের ব্যক্তিগত অংশ উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে, ভিডিওটিতে থাকা ব্যক্তি দিলীপ ঘোষ নিজেই। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ভিডিও সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, বিকৃত ও মনগড়া। তিনি সেই ব্যক্তি নন এবং ভিডিওটির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।

লালবাজারে দায়ের করা অভিযোগপত্রে দিলীপ ঘোষ অন্তত নয়টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা এই ভিডিও ছড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। কোন কোন ডিজিটাল চ্যানেল ও ব্যক্তিরা এই ভিডিও প্রচার করেছে, তার তালিকাও তিনি পুলিশকে দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে এটি ফেক কি না, বা কোথা থেকে আপলোড হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, যেসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি আপলোড বা শেয়ার হয়েছে, সেগুলোর অ্যাডমিনদেরও তলব করা হবে। পুলিশ জানতে চায়, তারা কীভাবে এই ভিডিও পেলেন এবং কে বা কারা তাদের এটি পাঠিয়েছিল। এফআইআরের তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।