চুঁচুড়ায় রচনার সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটমাটে বিধায়ক অসিত, ‘বোন’ সম্বোধন, সিপিএম-বিজেপির চক্রান্তের অভিযোগ

হুগলির চুঁচুড়া বাণী মন্দির স্কুলে স্মার্ট ক্লাস রুম তৈরি নিয়ে তৃণমূলের সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের মধ্যে যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, এবার তার ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার নিজেই। সাংসদ রচনাকে নিজের ‘বোন’ সম্বোধন করে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির জন্য সিপিএম ও বিজেপিকে দায়ী করেছেন তিনি।
গত ৩১ জুলাই হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তহবিলের টাকায় নির্মিত চুঁচুড়া বাণী মন্দির স্কুলের স্মার্ট ক্লাস রুম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদের কাছে বিধায়ক অসিতের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ শুনে রচনা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, “আমি স্তম্ভিত! তৃণমূল বিধায়ক সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি স্মার্ট ক্লাস রুমের বিরোধিতা করছেন। এরকম স্মার্ট ক্লাস রুম আরও তৈরি হবে। দেখি কার কত দম!” তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
পাল্টা জবাবে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছিলেন, “দলের একটা ফোরাম আছে।” তবে দু’দিন পরেই তাঁর সুর সম্পূর্ণ নরম হয়ে যায়। রবিবার তিনি বলেন, “রচনা আমার নিজের বোনের মতো। ওকে মমতাদি পাঠিয়েছেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচন লড়েছি।” নিজের অবস্থানে নরম হয়ে অসিত মজুমদার দাবি করেন, “কোনও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এর পিছনে সিপিএম বিজেপি আছে। তারা আমাদের মধ্যে ঢুকে আছে। তারা চায় আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক খারাপ হোক।”
বিধায়ক আরও বলেন, “রচনা যদি আমার কোনো কথাতেই কষ্ট পেয়ে থাকে, আমি দুঃখিত, অনুতপ্ত। রচনা আর আমি একসঙ্গে কাজ করব, আগামী দিনে এই প্রতিশ্রুতি দিলাম।” এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার প্রকাশ্যে বিবাদ মিটিয়ে ফেলার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। তবে রচনার প্রতিক্রিয়া এখনও আসেনি।