শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে ধুন্ধুমার, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হুগলির শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হলো। রোগীর পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
পরিবারের অভিযোগ ও লাইভ বিক্ষোভ
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার (২৪শে জুলাই) সকালে, যখন এক রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে এবং পরিবার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলে। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা একত্রিত হয়ে হাসপাতালের ভেতরেই বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়া এবং নার্সদের অবহেলার কারণে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই লাইভ ভিডিওতে তারা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তাদের মূল দাবি ছিল, চিকিৎসায় অবহেলার কারণ খতিয়ে দেখা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অস্বীকার
অন্যদিকে, শ্রমজীবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতালের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, রোগীর চিকিৎসা যথাযথ পদ্ধতি মেনেই করা হচ্ছিল এবং কোনো গাফিলতি ছিল না। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ বলেও তাঁরা দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, পরিবার আবেগের বশে এমন অভিযোগ করছে এবং বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হস্তক্ষেপ
বিক্ষোভের খবর পেয়ে দ্রুত শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বিক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। হাসপাতালের ভেতরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকেও নজর রাখা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বিক্ষোভের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই ঘটনা শ্রীরামপুরের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এবং তার জেরে হাসপাতালের অভ্যন্তরে এমন বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে রোগীর পরিবার।