ময়নাগুড়িতে মিষ্টির দোকানের কর্মী খুন, আট ঘণ্টার মধ্যে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিকা

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় মিষ্টির দোকানের কর্মী অমল রায় খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি নয়নজুলি থেকে গলা কাটা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার আট ঘণ্টার মধ্যেই এই পরিকল্পিত খুনের রহস্য ভেদ করে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার বিবরণ:
ময়নাগুড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা অমল রায় (৪০) মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা তার মৃতদেহ নয়নজুলিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ অমল রায়ের গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি একটি পরিকল্পিত খুন।

তদন্ত ও গ্রেফতার:
পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং নিহতের স্ত্রী প্রমিলা রায়ের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। তদন্তে উঠে আসে, প্রমিলার সঙ্গে বানারহাটের দুরামারির বাসিন্দা বিবেকানন্দ রায়ের একটি সম্পর্ক ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই এই খুন করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ বানারহাটের দুরামারি থেকে বিবেকানন্দ রায়কে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিবেকানন্দ স্বীকার করে যে, মঙ্গলবার রাতে সে দুরামারি থেকে এসে রাস্তার ধারে লুকিয়ে ছিল। অমল রায়কে দেখতে পেয়ে অতর্কিতে হামলা করে তাকে খুন করে এবং তার দেহ নয়ানজুলিতে ফেলে রেখে রাতেই পালিয়ে যায়।

পুলিশের পদক্ষেপ:
ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মোটিভ এবং এর পেছনের মূল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধৃত বিবেকানন্দ রায়কে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।

এই ঘটনায় ময়নাগুড়ি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত।