“বাংলায় কি একটাও সুন্দরী মেয়ে নেই, যে পঞ্জাবি বউ আনতে হয়?” নাম না নিয়ে অভিষেককে তোপ দিলীপের

মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রকল্প থেকে শুরু করে বাঙালি ইস্যু পর্যন্ত একাধিক বিষয় নিয়ে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি, দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কেও স্পষ্ট কথা জানান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নামে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় এত দুর্নীতি হয়েছে, তাই এই প্রকল্প কতটা কাজ করবে!” তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, “তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি করেছে। তাই এই প্রকল্প খুব একটা কাজ করবে না।”
বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “বাঙালি বলে চিৎকার করছেন মমতা। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী ভিন রাজ্য থেকে মানুষ নিয়ে এসেছেন।”
নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বাংলায় কি একটাও সুন্দরী মেয়ে নেই, যাকে ঘরের বউ করা যায়? বাড়িতে পাঞ্জাবি বউ রাখব আর বাঙালি বাঙালি করব।” তাঁর এই মন্তব্যের পর দিলীপ অনুগামীদের একাংশ মনে করছেন যে, তিনি অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছেন।
দিলীপ ঘোষ গুজরাট, অসম থেকে তৃণমূলের সাংসদ করা নিয়েও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলায় কি কোনো যোগ্য ব্যক্তি নেই যাকে সাংসদ করা যায়?” তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সকেত গোখলের মতো ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের সাংসদ করার সমালোচনা করেন।
তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে আসারও অভিযোগ তোলেন এবং রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রাজনৈতিক বিতর্কের পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কথা বলেছেন। তিনি জানান, দলই তাঁকে নেতা বানিয়েছে এবং দলের নির্দেশ মেনেই তিনি কাজ করবেন। খড়গপুরের প্রার্থী ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “পার্টি আমাকে ৩ বার প্রার্থী করেছে। আমি টিকিট বা পদ চাইনি। তাও দিয়েছে। অমিত শাহ বলেছিলেন বড় নেতাদের ভোটে লড়তে হবে। আমি মাত্র ৬ মাস সভাপতি ছিলাম। পার্টি বলেছে বলে ভোটে লড়েছি।” তিনি আরও বলেন, “শেষবার আমাকে কেউ চয়েজ জিজ্ঞাসা করেনি। ফলাফল আপনারা দেখে নিয়েছেন।”