ধান চাষে রাসায়নিক সার নয় বরং ছড়িয়ে দিন এই জিনিসটি, ফলন হবে বাম্পার! চমকে যাবে গোটা গ্রামবাসী

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে মাটির স্বাস্থ্য এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত কৃষকদের জৈব ও প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন। বর্তমানে বাংলায় ধান চাষের ভরা মরসুম চলছে এবং ধান রোপণের কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। এই সময়েই ধান চাষে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে সর্ষের খোল ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

সর্ষের খোল ব্যবহারের উপকারিতা
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ধান চাষে সর্ষের খোল ব্যবহার করলে ফলন আরও ভালো হবে। সাধারণত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত এই সর্ষের খোল ধান গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। এর ফলে:

ধান গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

অঙ্কুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে।

ধানের ফলনে এক ধরনের চকচকে ভাব আসবে।

ধরে-ধরে ধানের ওজন বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে কৃষকরা বিঘে প্রতি ভালো উৎপাদন পাবেন।

সর্ষের খোল ব্যবহারের পদ্ধতি
সর্ষের খোল সরাসরি জমিতে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে অথবা জলে ভিজিয়ে পচিয়ে সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যবহারের পদ্ধতি:

প্রথমে ধান জমিতে প্রয়োজনীয় জল নিশ্চিত করুন।

এরপর ৫ থেকে ৭ কেজি সর্ষের খোল ভালো করে গুঁড়িয়ে নিন।

এই গুঁড়ো খোলটি সারা জমিতে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন।

কৃষকরা ধান রোপণের আগেও এটি জমিতে ব্যবহার করতে পারেন।

সর্ষের খোল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন, বোরন, সালফার, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং পটাশের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে, যা গাছের উন্নত বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষকরা মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারবেন এবং একইসাথে ধানের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।